নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক কর্মী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় নাগরিক জোট’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশেষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ঘোষিত নতুন এই জোটের প্রতিনিধিরা হলেন মো. তারেক রহমান (সাধারণ সম্পাদক,আমজনতা দল), কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন (সভাপতি,দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন), কুলসুম সাধনা মহল(সিনিয়র সহ সভাপতি,আমজনতা দল), মো. আতিকুর রহমান (রাজা) (সভাপতি,বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ), মাহবুব আলম (সমন্বয়ক, বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন), সোনিয়া চৌধুরী (সদস্য সচিব, স্নিগ্ধ বাংলাদেশ) আল আমিন রাজু (আহ্বায়ক, জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট), আনোয়ার হোসেন রানা(সভাপতি, জাতিয় সমাজ পার্টি), তরিকুল ইসলাম ভুঁইয়া (জনতার অধিকার পার্টি.পি আর পি), মো. আল কাওছার মিয়াজী (বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক প্রজন্ম, বিজিপি), রাজু আহম্মদ খান (চেয়ারম্যান, গ্রীন পার্টি বাংলাদেশ), মাহবুব হোসাইন (অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়), গিয়াস উদ্দিন খোকন (বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদ) ড.কবির জুয়েল, প্রফেসর শাহ আলম, (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক জুলাই যোদ্ধা, চেয়ারম্যান , আগামীর বাংলাদেশ), মিম আক্তার (যাত্রাবাড়ী শহীদ পরিবার প্রতিনিধি) ইসরাত জাহান রেলি (ডিএসএ ভিক্টিম নেটওয়ার্ক) এবং আব্দুর রউফ (সংগঠক, শহীদ পরিবার জুলাই গণ অভ্যুত্থান)।
জোট গঠনের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন জুলাই গণ অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের চৌদ্দ মাস পার হয়েছে। এই সময়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নিয়ে নতুনভাবে বিবেচনা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে মানবিক-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ভোটাধিকারসহ যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন তা উপেক্ষিত হয়েছে। বলা যায় এই সময়ে জনগণের চিন্তা, আকাঙ্খা ও কল্যাণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়নি ।
সংশ্লিষ্টরা আরো বলেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক দল সম্রাজ্যবাদী ও বৈদেশিক শক্তির প্রতি নতজানু আচরণ দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলছে। যার প্রতিফলন ঘটছে বিভিন্ন বৈদেশিক চুক্তি ও সমঝোতায় বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় নাগরিক জোট’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোট সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক জোটের অন্যতম লক্ষ্য হলো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, জনবান্ধব টেকসই সংস্কার, নিবর্তনমূলক কালো আইন বাতিল এবং অন্তর্বতীকালীন সরকারের জবাবদিহিতা।